০৩- চিত্র: ওয়াজির খান মসজিদের প্যানোরমা দৃশ্য
মসজিদের ইতিহাসঃ
শাহজাহানের শাসনামলে ১৬৩৪ বা ১৬৩৫ খৃ: মসজিদের নির্মাণ শুরু হয় এবং সাত বছর ধরে নির্মাণ কাজ চলে।
মসজিদ স্থাপত্যঃ
মসজিদটি একটি উচ্চ ভিত্তির উপর নির্মিত। এর মূল অংশটি ওয়াজির খান চকের দিকে উন্মুক্ত। মসজিদের বাইরের পরিসীমা হল ২৭৯ ফুট (৮৫ মি) দ্ধ ১৫৯ ফুট (৪৮ মি)। এর দীর্ঘ অংশটি শাহি গুজারগাহর সাথে সমান্তরাল। মসজিদটি চুনাপাথর সহযোগে ইট দ্বারা নির্মিত।
মসজিদের সাজ-সজ্জাঃ
মসজিদের প্রায় প্রতি আভ্যন্তরীণ অংশ সুসজ্জিত। বিভিন্ন অঞ্চলের সজ্জা শৈলীর ব্যবহারের কারণে ওয়াজির খান মসজিদ পরিচিত। শাহজাহানের যুগে লাহোরে নির্মিত অন্যান্য স্থাপনায় কাশি-কারি শৈলী ব্যবহার হলেও ওয়াজির খান মসজিদের মত ব্যাপক মাত্রায় আর কোথাও ব্যবহার হয়নি।
০৪- চিত্র: ওয়াজির খান মসজিদে নামাজ কক্ষের সামমেনর মুরকানাস কারুকার্য
মসজিদে টাইলসের কাজঃ
মসজিদের বাইরের অংশে কাশি-কারি নামে পরিচিত পারস্যের সজ্জা শৈলী শোভিত। ভেতরের উঠানের দিকে থাকা বহির্ভাগ সমৃদ্ধ মটিফে সজ্জিত। এতে ১৭শ শতাব্দীর পারস্যের ছাপ লক্ষ্য করা যায়। পারস্য রীতিতে ব্যবহৃত রঙের মধ্যে রয়েছে লাজভার্দ (কোবাল্ট ব্লু), ফিরোজা, সাদা, সবুজ, কমলা, হলুদ ও বেগুনি। অন্যদিকে ফুল, ফলের নকশা রয়েছে। মসজিদে সাই প্রাস গাছের মটিফ রয়েছে।
ওয়াজির খান চকের দিকে থাকা বহির্ভাগ টাইলস ও ক্যালিগ্রাফি দ্বারা শোভিত করা হয়েছে। এতে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার আয়াত শরীফ, পবিত্র হাদিস শরীফ, দোয়া ইত্যাদি উৎকীর্ণ রয়েছে। নামাজের মূল স্থানের সম্মুখভাগে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার আয়াত শরীফ উৎকীর্ণ রয়েছে। মিহরাবের মাঝ বরাবর মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক উনাদের ক্যালিগ্রাফি করা হয়েছে। ক্যালিগ্রাফার হাজি ইউসুফ কাশ্মিরি এগুলো উৎকীর্ণ করেছেন।
Share0ShareShare