সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ সমাগত; তারপরেও মুসলমানদের মাঝে কাঙ্খিত জজবা ও মুহব্বতের জোয়ার নাই কেন? রাষ্ট্রযন্ত্রও চরম উদাসীন কেন?
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের জন্য সরকারকে সর্বোচ্চ বাজেটসহ সবকিছুর চূড়ান্ত ইন্তেজাম করতে হবে।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ গোটা মাসব্যাপী ছুটি ঘোষণা করতে হবে।
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সব সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত পবিত্র দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই মহাসম্মানিত রহমত মুবারক এবং তিনিই রহমত মুবারক বণ্টনের মালিক অর্থাৎ ‘রহমতুল্লিল আলামীন’; তাই এই বিশেষ মাসে আলাদাভাবে বিশেষ রহমত মুবারক নাযিল হয় শুধু মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে। সুবহানাল্লাহ!
সঙ্গতকারণে কুল-কায়িনাতের সবার উচিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের ফাযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং এই সম্মানিত মাস উদযাপনের জন্য বিশেষ জজবায় অনুপ্রাণিত হওয়া এবং সর্বাত্মক কোশেশ করা।
প্রসঙ্গত, আর মাত্র ৫ দিন পর কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ বা পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা পবিত্র মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আগমন মুবারক সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ফযল-করম মুবারক এবং রহমত মুবারক হিসেবে উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে হাদিয়াস্বরূপ দিয়েছেন, সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে। (তোমরা যতো কিছুই করো না কেন) এ খুশি প্রকাশ করাই হচ্ছেন সমগ্র কায়িনাতের জন্য সবচেয়ে বড় ও সর্বোত্তম নিয়ামত।” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫-৫৮)
এ ঈদ- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ তথা মহাপবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ; যা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ তথা পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে সমধিক পরিচিত। যা পালন করা শুধু মুসলমানই নয়, বরং কুল-কায়িনাতের সবার জন্য ফরয-ওয়াজিব। এ ফরয পালনে ব্যর্থরা যে মহান কঠিন আযাব গযবে গ্রেফতার হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
স্মর্তব্য, আযাব-গযবের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বেশি কঠিন আযাব-গযব হলো, দিল মুর্দা হয়ে যাওয়া। দিল বা অন্তর থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার স্মরণ, উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্মরণ তথা সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি মুহব্বত উঠে যাওয়া। নাঊযুবিল্লাহ! বিপরীতে কাফির-মুশরিকদের মুহব্বত, অনৈসলামী কর্মকা-ে জোশ তৈরি হওয়া। মরদুদ দরবেশ বালয়াম ও খোদ ইবলিসসহ নমরূদ, সাদ্দাদ, হামান, কারুন, ফিরআউন- এ ধারার গযবে আক্রান্ত। নাঊযুবিল্লাহ!
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ, রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দেশ- বাংলাদেশে এ গযবটিই এখন ভয়ঙ্করভাবে ফুটে উঠেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রশংসা মুবারক যে করতে পারবে না, সে মহান আল্লাহ পাক উনারও প্রশংসা মুবারক করতে পারবে না। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারকে হক্ব যে আদায় করতে পারবে না, সে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত মুবারকের হক্বও আদায় করতে পারবে না।
তাই উল্লেখ্য যে, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই যে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ, যা ঈদুল আকবর বা ঈদুল আ’যম; তা উদযাপনই হতে হবে- রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার এদেশে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধিবাসীর এদেশে- সর্বপ্রধান, সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বোচ্চ সরকারি আয়োজন। এ আয়োজন উৎসবকে উপলক্ষ করেই লাখ লাখ কোটি টাকা বাজেট করতে হবে। দেশের সব গরিব-দুঃখীদের সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি সাহায্য দিতে হবে। গোটা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসকেই ছুটির মাস হিসেবে গণ্য করতে হবে। দেশের সকল মসজিদে ব্যাপক সরকারি সহযোগিতায় সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ, পবিত্র ওয়াজ শরীফ মাহফিল, পবিত্র সামা শরীফ মাহফিল ও উন্নতমানের তবারক বিতরণ ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে।
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সেসব নিয়ামত মুবারক হাছিলই আমাদের অন্তরের একান্ত আরজু।
ছহিবে পবিত্র সাইয়্যিদুল সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)